• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪২৯

অপরাধ

কুষ্টিয়া শহর রক্ষা বাঁধ নির্মানে অনিয়ম, কাজ হয়েছে মাত্র ২৫ ভাগ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৩ জুন ২০২৩

আকরামুজ্জামান আরিফ কুষ্টিয়া: 
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার অধিন কুষ্টিয়া শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের কাজের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুষ্টিয়ার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই শহর রক্ষা বঁঁাধ প্রকল্প নির্মাণ কাজ চলতি মাসে শেষ হবার কথা থাকলেও কাজ হয়েছে আনুমানিক ২৫ ভাগ। অভিযোগ উঠেছে যতটুকু কাজ হয়েছে তাও আবার নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধিন কুষ্টিয়া শহর রক্ষা বাঁধ মঙ্গলবাড়ীয় এলাকা থেকে জুগিয়া পর্যন্ত ১ হাজার ১৪০ মিটার গড়াই নদীর তীর ও শহর রক্ষা বাধ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২২ সালে শেষ হবার কথা ২০২৩ সালের জুন মাসে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২৩ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের কাজ পান ন্যাচারাল কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এক বছর মেয়াদী এই কাজের শেষ হবার কথা ২০২৩ সালের জুন মাসে। অথচ দেখা যাচ্ছে এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ২৫শতাংশ। যতটুকু কাজ করা হয়েছে তাও আবার নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী দিয়ে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে যত্রতত্রভাবে দায়সারা কাজ করা হচ্ছে। ফলে সঠিকভাবে কাজ না করায় হুমকীর মুখে পড়তে পারে কুষ্টিয়া শহর। মোটা বালি দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও সেখানে ফিলিং বালি ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই সব বালি নদীতেই চলে যাচ্ছে। ব্লক নির্মাণ করা হয়েছে পোড়া মাটি দিয়ে। অথচ ১নং ইটের খোয়া দিয়ে ব্লক নির্মান করার কথা ছিল। এলাকার শামসুল নামের এক কৃষক বলেন, এর আগেও এই বাধের কাজ করা হলেও তা টিকে নাই। প্রতিবারই অনিয়ম করে বাধ নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের দাবী সঠিকভাবে বাঁধ নির্মান করা হউক।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আনোয়ার হোসেন বলেন, আগে যাই হউক না কেন বর্তমানে সঠিকভাবেই কাজ করা হচ্ছে। কাজের মানও ভালো।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে বাঁধ নির্মানের অভিযোগ উঠলেও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পের কাজের অনিয়মের কোন সুযোগ নেই। তিনি বলেন, কোয়ালিটি কনটিটি নিয়ে ডাউট হবারও কোন সুযোগ নেই। বুয়েট থেকে গুনাগত মান যাচাই করেই বিল প্রদান করা হয়।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads